Sunday, January 1, 2012

ঈপ্সিতা দাশ সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় মুন্সীগঞ্জের ঈপ্সিতা দাশ সর্বোচ্চ ৫৯৮ নাম্বার পেয়েছে। সে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দক্ষিণ পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার মা প্রমীলা রানী পাল একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। বাবা শ্যাম প্রসাদ দাশ পার্শ্ববর্তী উত্তরপাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ইপ্সিতা দাশ বাবা মায়ের
একমাত্র সন্তান। প্রতিদিন গড়ে সে ৮ ঘন্টা পড়াশুনা করত। কোন প্রাইভেট শিক্ষক ছিল না। বিদ্যালয়টির পাশের পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ঈপ্সিতা শিশু শ্রেনী থেকেই মায়ের সাথে স্কুলে যেত।ঈপ্সিতা অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলে, “খুব ভালো লাগছে, যা বুঝানো যাবে না।” এই সফলতার জন্য সে বাবা মায়ের অবদান এবং স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতার ছিল অনেক বেশী। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে দরিদ্র মানুষের চিকিৎসায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করার উচ্ছা প্রকাশ করে ঈপ্সিতা।

মা প্রমীলা রানী পাল বলেন, “খুশির পরিমান বুঝাতে পারবো না।” পড়াশুনার প্রতি ঈপ্সিতার ঝোক এবং একাগ্রতা অনেক ছিল বেশী উল্লেখ করে তিনি বলেন, “হাতের লেখা ও ছবি অঙ্গনে জাতীয় পুরস্কার লাভ করা ঈপ্সিতার অবসর কাটে ছবি একে ও বই পড়ে। বাংলা ও সমাজ বিষয়ে এক নম্বর করে দু’নম্বর কম পায়। বাকী গণিত, ইংরেজী, সাধারণ বিজ্ঞান ও ধর্ম চারটি বিষয়েই শতভাগ নম্বর পেয়েছে সে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সহদেব চন্দ্র দত্ত জানান, বিস্ময়কর মেধা দেখে আমরা আগেই অনুমান করেছিলাম ঈপ্সিতা আমাদের জন্য সম্মান বয়ে আনবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামসুন নাহার সোমবার সন্ধায় জানান, আমরা কিছু আগে নিশ্চিত হয়েছি ঈপ্সিতা সর্বোচ্চ ৫৯৮ নম্বর পেয়ে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ঈপ্সিতার পরিবারকে জানানো হয়। গ্রেডিং পদ্ধতির কারণে প্রাথমিকভাবে ইন্টারনেটে সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়া শিক্ষার্থীকে সনাক্ত করা যায়নি। পরে এটি নিশ্চিত হওয়া যায় বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান।
মুন্সিগঞ্জ নিউজ, 27/12/2011

No comments:

Post a Comment