Sunday, January 1, 2012

প্রেসক্লাবে ১০ পরিবারের অভিযোগ


সংবাদ সম্মেলন
‘সিন্ডিকেটের চোখ একবার যার দিকে কুনজরে তাকায়, সেই যেন শূন্য হয়ে মিলিয়ে যায়। হারায় বাপ-দাদার জমিজমা। এটা এখন লৌহজংয়ের নয়নাকান্দা গ্রামের একটি প্রবাদ বাক্যে পরিণত হয়ে উঠেছে।’ তাহলে আমরা এখন কোথায় যাব? চেয়ারম্যানের কাছে গেলাম, তিনি সিন্ডিকেটের কথা শুনতেই পিছিয়ে গেলেন।

মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বললেন, লৌহজং উপজেলার নয়নাকান্দা গ্রামের দিনমজুর রুহুল আমিন। জাল দলিল দিয়ে অন্যের জমিজমা দখলে নিতে একটি ভূমি আগ্রাসী সিন্ডিকেটের কর্মকা- সম্পর্কে বলতে গিয়ে এই দিনমজুর কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে নয়নাকান্দা গ্রামের অন্তত ১০টি পরিবার। এসব পরিবারগুলো এবার ১০ একর ফসলি জমিতে ধান আবাদ করতে পারেনি। মৌসুমের আগেই সিন্ডিকেটের সদস্যরা তাদের জমিতে সাইন বোর্ড টানিয়ে মালিক বনে গেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কারো মুখ খোলারও সাহস নেই। তারা এখন ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় দিনযাপন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওই পরিবারগুলোর প্রায় ২৫-৩০ জন নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। ভুক্তভোগী রাবেয়া জানান, ওই সিন্ডিকেট মাস খানেক আগে তার পৈতৃক জমিতে মালিকানা দাবি করে সাইন বোর্ড লাগিয়েছে। এখন নাকি ওরাই তার ৪৬ শতাংশ জমির মালিক। এতে তিনি নিজের জমিতে এবার ধান চাষ করতে পারেননি।
বাবুল খা জানান, তিনি ও তার ভাইদের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৭২ শতাংশ ধানি জমি রয়েছে। প্রায় ৩০-৩৫ বছর ধরে তারাই ওই জমিতে ফসল ফলাচ্ছেন। কিন্তু হঠাৎ করে ওই জমির মালিকানা দাবি করে বসে ভূমি সিন্ডিকেটটি।
তারা জানান, কনকসার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম হচ্ছেন ওই সিন্ডিকেটের প্রধান। স্থানীয়ভাবে তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলেন না। তারা আরো জানান, তাজুল ইসলামের সঙ্গে রয়েছেন একই গ্রামের সিরাজউদ্দিন, তোফায়েল।
ব্যাপারে কনকসার ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন_ অন্যের জমি দখল করতে পারদর্শী এরা। জাল দলিল কিংবা কারো কাছ থেকে পাওয়ারনামা নিয়ে ওই সিন্ডিকেট মাঠে নেমেছে অন্যের সম্পত্তি কেড়ে নিতে।

সূত্র: মুন্সীগঞ্জইনফো.কম, 31/12/2011

No comments:

Post a Comment