Wednesday, March 14, 2012

মুন্সীগঞ্জে লঞ্চ দূর্ঘটনা-২০১২

লঞ্চ শরীয়তপুর-১-এর ওপরের অংশ।




  • এটিই ডুবে যাওয়া শরীয়তপুর-১ লঞ্চ। লঞ্চটিকে তীরের অনেক কাছে টেনে আনা হয়েছে। ডুবুরিরা লাশের সন্ধান
টেনে তোলা হচ্ছে ডুবে যাওয়া লঞ্চ শরীয়তপুর-১।

এটিই ডুবে যাওয়া শরীয়তপুর-১ লঞ্চ। লঞ্চটিকে তীরের অনেক কাছে টেনে আনা হয়েছে। ডুবুরিরা লাশের সন্ধান
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া শরীয়তপুর-১ লঞ্চ থেকে আজ বুধবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সকাল ছয়টা থেকে উদ্ধারকাজ আবার শুরু হলে ৭৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল ৩৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান শামসুজ্জোহা খন্দকার প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, এ পর্যন্ত মোট ১১০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর সাঁতরে তীরে ওঠা দুলাল দেওয়ান বলেন, তাঁর ধারণা লঞ্চটিতে অন্তত ৩০০ যাত্রী ছিলেন। সাঁতরে ও বিভিন্ন উপায়ে তীরে উঠতে পেরেছেন অন্তত ৫০-৬০ যাত্রী।
দুলাল দেওয়ানের এই তথ্য প্রকৃত যাত্রী সংখ্যার কাছাকাছি হলে অন্তত শতাধিক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 
এদিকে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা গতকাল মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আজ সকাল থেকে রুস্তম ও হামজা যৌথভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করে। উদ্ধারকারী জাহাজ দুটি ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে তীরের বেশ কাছে এনেছে। ডুবে যাওয়া লঞ্চটির আংশিক পানির ওপরে তোলা হয়েছে।
উদ্ধারকাজ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়া নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার গুলজার প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ। নৌবাহিনীর ১৬ জন ডুবুরিসহ মোট ৩০ থেকে ৪০ জন ডুবুরি এ উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন। 
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাত আড়াইটার দিকে মালবাহী জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দিলে গজারিয়ায় চর রমজান বেগে মেঘনা নদীতে চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে সেটি তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত ৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীদের বাড়ি শরীয়তপুরের বিভিন্ন গ্রামে। 

আলোকস্বল্পতা ও উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা না পৌঁছানোয় গতকাল রাত আটটা থেকে আজ ভোর ছয়টা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়েছিল। তবে এ ঘোষণার পরও নৌবাহিনীর ডুবুরি দল রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালায়। আজ সকাল থেকে সবাই আবার উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। 
দুর্ঘটনা তদন্তে গতকালই তিনটি কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএ। তিনটি কমিটিকেই সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে নৌপরিবহনমন্ত্রী নিহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ হাজার টাকা ও একই পরিবারের একাধিক সদস্য নিহত হলে ৪৫ হাজার টাকা এবং দাফন ও সত্কারের জন্য আরও অতিরিক্ত তিন হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।

No comments:

Post a Comment