
শনিবার বিকেলে এই সাবেক সাংসদের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সবস্তরের মানুষ এই বিএনপি নেতার প্রতি শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানায়। স্থানীয় কালিয়াখিল মাঠে তার পঞ্চম জানাজা হয়।
এই এলাকা থেকে ১৯৭৯, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ (১৫ ফেব্র“য়ারির নির্বাচন) সালে তিন দফা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হামিদুল্লাহ খান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছিলেন তিনি।
বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক হামিদুল্লাহ খান শুক্রবার দুপুরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর। তার পুত্রবধূ রাইসা ওয়ালী খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হামিদুল্লাহ খান উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।
শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের আল্লাহু জামে মসজিদে দুটি জানাজা হয় হামিদুল্লাহ খানের। বেলা ১১টার দিকে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
এরপর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ছাত্রদল, উলামা দল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (ড্যাব), জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
নয়া পল্টনের কর্মসূচি শেষে মরহুমের কফিন নিয়ে যাওয়া হয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে তার চতুর্থ নামাজে জানাজা হয়। এর আগে পুলিশের একটি চৌকশ দল তার প্রতি রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।
স্পিকার আবদুল হামিদ ও বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক মরহুমের কফিনে আলাদাভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তবে সংসদ নেতা বা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে কেউ আসেননি সেখানে।
সংসদ ভবন থেকে হামিদুল্লাহ খানের মরদেহ মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সড়ক পথে।
তার বড় ছেলে তারেক আহমদ খান জানান, লৌহজংয়ে জানাজা শেষে হামিদুল্লাহ খানের মরদেহ নিয়ে আসা হবে ঢাকায়, রাতে রাখা হবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে।
ছোট ছেলে জাপান থেকে দেশে ফেরার পর রোববার সকালে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে এই মুক্তিযোদ্ধাকে।
সূত্র: বিডিনিউজ২৪.কম, ৩১/১২/২০১১
No comments:
Post a Comment